-->

FAQ (বাংলা)


 1. নার্সিং কি?

নার্সিং এমন একটি পেশা যা জনস্বাস্থ্য সেবা এবং স্বাস্থ্য সচেতনতামূলক কার্যক্রম নিয়ে কাজ করে। এই পেশাটি ব্যক্তিগতভাবে, পারিবারিক বা সামাজিকভাবে কোনও রোগী বা ব্যক্তির স্বাস্থ্য এবং সুস্থতা পুনরুদ্ধারের গুরুত্বের উপর জোর দেয়।

2. কেন একজন নার্সিং অধ্যয়ন করা উচিত?

উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করার পর, অনেক শিক্ষার্থীই হতাশ এবং চিন্তিত যে আমরা কোথায় ভর্তি হব এবং তারা কোন বিষয়ে পড়বে। তাদের অধিকাংশই কোনো নির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত নিতে পারে না এবং যথারীতি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত ফরম কেনা শুরু করে। দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে পাগলা ঘোড়ার মতো পরীক্ষা দেয়। ফলে অল্পসংখ্যক বাদে সবাইকে খালি হাতে ফিরতে হচ্ছে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ব্যর্থ হওয়ার কারণে তারা পরিবার এবং বন্ধুদের মুখোমুখি হতে পারবে কিনা তা ভেবে অনেক শিক্ষার্থী হতাশ বোধ করে। কিছু কথা বলার পরিবর্তে তাদের সমস্যা সম্পর্কে যোগাযোগ করা বন্ধ করে দেয়। কিন্তু এই সময়ে, আমরা যদি আমাদের শিক্ষার্থীদের সঠিক দিকনির্দেশনা দেই, তারা প্রত্যেকেই তাদের পছন্দসই বিষয়ে পড়াশোনা করে একজন সফল ব্যক্তিতে পরিণত হতে পারে। আমরা যে বিষয়ে অধ্যয়ন করছি সেই বিষয়ে আমরা চাকরি পাব কিনা আমরা বেশিরভাগই জানি না, তবে কিছু বিষয় রয়েছে যেগুলিতে অধ্যয়ন করলে আপনি বিশ্বব্যাপী একটি বিশ্বব্যাপী ক্যারিয়ার গড়তে পারেন। যারা মানবতার উন্নতির জন্য কাজ করতে চান তাদের জন্য নার্সিং হল সঠিক পথ, এবং এটি নার্সিং-এ ডিপ্লোমা/বিএসসি পড়ার মাধ্যমে সম্ভব, সর্বোপরি নার্সিং এমন একটি পেশা যার চাহিদা সীমাবদ্ধ নয়।

3. কেন নার্সিং একটি মহান পেশা?

বর্তমানে নার্সিং পেশা হিসেবে বেশ জনপ্রিয়। আপনি যদি নার্সিং অধ্যয়ন করার জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হন, আমি বলব যে আপনি সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। একজন নার্স চিকিৎসকের পাশাপাশি বিভিন্ন চিকিৎসা সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করেন। নার্সরা তাদের যত্নে একজন রোগীকে সুস্থ করে তোলেন। একজন নার্স ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী রোগীর সমস্ত দায়িত্ব বহন করেন। ওষুধ দেওয়া, রোগীকে খাওয়ানো থেকে শুরু করে রোগীকে যথাযথ নিষ্ঠার সাথে চিকিত্সার ক্ষেত্রে বিভিন্ন পরিষেবা প্রদান করা পর্যন্ত যতক্ষণ রোগী হাসপাতালে ভর্তি থাকে, একজন নার্স তার পরিষেবার দায়িত্ব পালন করে।

4. একজন নার্সিং স্টুডেন্টের জন্য কোন কাজের সুযোগ আছে?

সব সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক, কমিউনিটি হেলথ কেয়ার সেন্টার, আরবান ম্যাটারনিটি হাসপাতাল, ডায়াগনস্টিক সেন্টার এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে নার্সদের চাকরির সুযোগ রয়েছে। দেশের বিশাল জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে সরকারি হাসপাতালের পাশাপাশি বাড়ছে বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকের সংখ্যা। চাহিদার তুলনায় নার্সের সংখ্যা অনেক কম। এছাড়াও ক্লিনিক্যাল নার্সিং ছাড়াও সরকারি হাসপাতাল ও সেবা কার্যক্রম এবং প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনার জন্য গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নার্সিং ও মিডওয়াইফারি বিভাগে বিভিন্ন প্রশাসনিক পদে কাজ করার সুযোগ রয়েছে। এই পদগুলো ১ম শ্রেণীর সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য:

1. Director General 
2. Director (Administration) 
3. Director (Nursing Education) 
4. Director (Midwifery Education) 
5. Director (Discipline) 
6. Deputy Director (Administration, Nursing Education, Midwifery Education, Discipline) 
7. Assistant Director (Administration, Nursing Education, Midwifery Education, Discipline) 
8. Divisional Director Nursing (6 Divisional Offices) 
9. District Public Health Nurses (64 District Civil Surgeon Offices)

 5. বাংলাদেশে নার্সিং এর ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা কি?

বিএসসি বা ডিপ্লোমা ডিগ্রি শেষে নার্সিং কাউন্সিলের নিবন্ধিত নার্সের চাকরিতে যোগ দিতে পারেন। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়াতে শিগগিরই সরকারি হাসপাতালে আরও ১০ হাজার নার্স নিয়োগের ঘোষণা দিয়েছেন। উল্লেখিত কর্মসূচির নিয়োগ প্রক্রিয়া কয়েক মাসের মধ্যে শুরু হবে।

6. বিদেশে নার্সদের পেশাগত চাহিদা আছে?

বাংলাদেশ থেকে নার্সিং ডিগ্রি নিয়ে বিদেশে চাকরির সুযোগও রয়েছে। গত বছরে জর্ডান, মালয়েশিয়াসহ অনেক দেশে বাংলাদেশ থেকে নার্স নেওয়া হয়েছে। অস্ট্রেলিয়া, আমেরিকাসহ অন্যান্য দেশে বাংলাদেশি নার্সরা চাকরির সুযোগ পান। বিদেশে কর্মরত একজন নার্স প্রায় দেড় থেকে দুই লাখ টাকা বেতন পান। অতিরিক্ত কাজের ঘন্টার জন্য অতিরিক্ত অর্থ প্রদান করা হয়। একজন নার্স একজন অসুস্থ ব্যক্তির বাড়িতে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং যত্ন নিতে পারেন।